অভিভাবকরা অসহায়বোধ করবেন না
প্রকাশিত : ২২:৪৬, ৯ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ২২:৪৭, ৯ এপ্রিল ২০২০
অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল
নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক-নার্স-অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের পাশে আছেন। অভিভাবকরা অসহায়বোধ করবেন না। যাঁরা চিকিৎসকদের জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে জেনেরালাইজড করে জনগণের আস্থা ভেঙে দেয়ার কাজ করছেন , তাঁদের প্রচারণা থেকে সাবধান থাকুন।
যাদের ক্যান্সার, হার্ট ডিজিজ, অ্যাজমা বা অন্যান্য রোগ আছে, তাঁদের কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি বেশি। তারাও সংক্রমিত হতে পারেন।
চিকিৎসক তাদেরকেও দেখার সময় সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখবেন। কেবল রোগীর মূলরোগ ধরে চিকিৎসা করবেন না। উপসর্গবিহীন কোভিড-১৯ সংক্রমণিতরা বেশি বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন বলে বিশ্বনিউজে প্রচারিত হচ্ছে। কোনো সত্য লুকোবেন না। যে কোনো সম্ভাব্যরোগ এক্সক্লুসন করার জন্য তিনি যে পরীক্ষা নিরীক্ষা দেবেন, আস্থার সঙ্গে তা করুন। জরুরি না হলে ঘর থেকে বের হবেন না। প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে ফোন দিন। চিকিৎসকই অফ টাইমে ঘরে বসে আপনাকে পরামর্শ দেবেন। বার বার কল করে সাড়া না-পেলেই হতাশ হবেন না। তিনি তখন অন্য কোনো জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকলে বা ঘুমে থাকলে আপনার কল ধরবেন না। এভাবে ভাবুন।
একজন চিকিৎসক কেন আপনাকে ফিরিয়ে দেবেন? কী তাঁর মোটিভ? আপনাকে উপেক্ষা, অবহেলা করা? নাকি সে জাজমেন্টে ভুল করেছে? নাকি যৌক্তিক কোনো কারণ আছে? আপনাকেও ভেবে দেখতে হবে। তাঁর মোটিভ না-জেনে তাঁকে নিয়ে জাতির সামনে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করাও একটা অপরাধ। এমন ধোলাই করা সংবাদ যুদ্ধের ময়দানে প্রচার করে বেড়ালে অন্যান্য যোদ্ধাদেরও মনোবল ভেঙে যেতে পারে। ইতিমধ্যে অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টা মনে রাখা দরকার। কারণ এ যুদ্ধের ময়দানে রয়েছে জীবন-মরণের খেলা। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে। সংঘবদ্ধ লড়াই-ই পারবে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে আমদের জয়ী করতে। সবাই ভালো থাকুন। নিরাপদ থাকুন। ঘরে থাকুন।
(সাবেক পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, ঢাকা)
এমবি//